কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা। কারাগারে তাদের জামিননামা ও প্রডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের আবেদন পৌঁছলে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এর আগে সব মামলায় প্রডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বৃহস্পতিবার) আদালত এ ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করেন।
এদিন দুপুরে আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, সব মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমির খসরুর প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করা হয়েছে। দুপুরের মধ্যে এ আদেশ কারাগারে পৌঁছে যাবে।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রমনা থানার মামলায় গতকাল বুধবার তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এ জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে তারা গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের ঘটনায় করা সব মামলায় জামিন পান। তাদের কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলেও জানান আইনজীবী।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
ঘটনার পর ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২ নভেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ নভেম্বর গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১ মামলা ও আমীর খসরুর বিরুদ্ধে দশ মামলা দায়ের করা হয়। তারা সব মামলায় এখন জামিনে রয়েছেন।